পরিবারটি ভেঙে যাওয়ার পথে | পাঠক ভাবনা | DW | 28.10.2010
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

পরিবারটি ভেঙে যাওয়ার পথে

৩০ অক্টোবর থেকে শর্টওয়েভে অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ হয়ে গেলেও এফএম তরঙ্গের কারণে আমার অনুষ্ঠান শুনতে কোন অসুবিধা হবেনা৷ কিন্তু মিস করবো আমার পুরনো বন্ধুদের যারা বহু চিঠিপত্র লিখতেন৷

ডয়চে ভেলে পরিবার

ডয়চে ভেলে পরিবার

আমরা ছিলাম এতোদিন একটি পরিবারের মতো৷ পরিবারটি এখন ভেঙে যাওয়ার পথে৷ একসময় ডয়চে ভেলে আমাদের একত্রিত করেছে আবার এখন ডয়চে ভেলেই আমাদের আলাদা করবে৷ সালাউদ্দিন ডলার, গ্লোবাল ডয়চে ভেলে ফ্যান ক্লাব, চৌমহুনী, রাজশাহী, বাংলাদেশ৷

আমি ১৯৮৩ সাল থেকে ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান শুনে আসছি৷ শ্রোতাদের চিঠিপত্রের আসর ইনবক্স থেকে জানতে পারলাম আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে আমাদের প্রিয় অনুষ্ঠান শর্টওয়েভে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য এফএম তরঙ্গে অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্হা করলেও ভারতের শ্রোতাদের জন্য সবেধন নীলমনি মিডিয়াম ওয়েভে সম্প্রচার চালু থাকবে৷ মিডিয়াম ওয়েভে অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গে কেউ শুনতে পায়না৷ তাই কর্তৃপক্ষের এ ধরণের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অভিশাপ স্বরূপ৷ দীর্ঘদিনের নিয়মিত শ্রোতা হিসেবে অবিলম্বে শর্টওয়েভ সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি৷ প্রিয়নজিৎ ঘোষাল, কলকাতা, পঃবঃ, ভারত৷

৩০ অক্টোবর আর মাত্র ৩দিন৷ বন্ধ হয়ে যাবে শর্টওয়েভ অনুষ্ঠান৷ আমরা বঞ্চিত হয়ে যাবো অনুষ্ঠান শোনা থেকে৷ চট্টগ্রাম এফএম তরঙ্গের প্রচারিত অনুষ্ঠান আমাদের এলাকায় শোনা যায়না৷ আমরা কি মিডিয়াম ওয়েভে সন্দীপ থেকে অনুষ্ঠান শুনতে পাবো? তসলিমা বেগম, পূর্ব হরিশপুর, সন্দীপ, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ৷

দেখতে পাচ্ছি শর্টওয়েভের জীবন প্রদীপ নিভে আসছে,আমাদের মতো যাদের এফএম ও ইন্টারনেট সুবিধা নেই তাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে সুন্দরএকটি অনুষ্ঠান শোনা থেকে কিন্তু এই প্রশ্নের কি কখনও কোন উত্তর হবে? আমাদের এ দুর্ভাগ্যকে বরণের জন্য আসলে দায়ী কে? আমরা হতভাগ্য শ্রোতারা? নাকি ডয়চে ভেলে? ডাঃবিকাশ রঞ্জন ও মায়া রাণী ঘোষ, কপিলমুনি, খুলনা, বাংলাদেশ৷

আপনাদের ওয়েবসাইটটি খুবই সাজানো গোছানো৷ আশা করি আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে৷ মোঃ সাইফুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ৷

আমি ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান আগে থেকেই শুনছি এবং এখন নিয়মিত শ্রোতা৷ পুরো অনুষ্ঠানই খুব ভালো লাগে৷ মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ধামীন কামনগর, বাগমারা, রাজশাহী, বাংলাদেশ৷

এফএম ব্যান্ডে অনুষ্ঠান প্রচারের সিদ্ধান্ত খুবই যুক্তিসঙ্গত আর সেজন্য আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ৷ কাইয়ুম চৌধুরী, রাজশাহী, বাংলাদেশ৷

গতকাল সকালের অধিবেশনে বাংলাদেশের একগুচ্ছ তাজা খবর, পোশাক নির্মাণ, সংবাদপত্রের শিরোনাম, ইন্দোনেশিয়ার সুনামি, বহুল আলোচিত জার্মানির অক্টোপাস পলের মৃত্যু, এবং ফিচার পর্ব এইপ্রজন্মে ইন্টারনেটে বাংলা উইকিপিডিয়া ব্যবহার ও হেল্থ লাইনে বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিশ্বস্বাস্থ্য সম্মেলনে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে প্রতিবেদন শুনে আমরা ক্লাবের সবাই ভীষণ খুশি৷মোখলেসুর রহমান,কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ৷

ফুটবল জ্যোতিষী পলের মৃত্যুতে সারাবিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের মত আমরাও শোকাহত৷ বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০ আসরে বেশ কিছু খেলার আগে ভবিষ্যদ্বাণী করে পল বিশ্ব জুড়ে এতোটাই খ্যাতি অর্জন করেছে যে, যা ছিলো অসাধারণ৷ বিশেষ করে জার্মানির সাতটি খেলা এবং স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ফাইনাল খেলার ফলাফল সম্পর্কে পলের ভবিষ্যদ্বাণী তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল আসরের মহানায়কে পরিণত করে৷ এমন কি তখন টক অফ দ্যা ফুটবল বলতেই ছিলো অক্টোপাস পল৷ মিডিয়াগুলোও ছিলো এই মহা তারকার পিছু পিছু৷ বিশ্বখ্যাত এই সফল ফুটবল জ্যোতিষী পলের মৃত্যুতে আমাদের ডয়চে ভেলে এফএম লিসনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের সকল সদস্য গভীর ভাবে শোকাহত এবং মর্মাহত৷ আমরা আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে পলের মালিক ‘ওবারহাউজেন সি লাইফ সেন্টার' কর্তৃপক্ষকে সমবেদনা জানাচ্ছি৷ ২৬ অক্টোবর রাতে পলের মৃত্যু সংবাদ আমরা প্রথমে শুনি বিবিসি লন্ডন থেকে৷ সেখানে পলের মৃত্যুর খবর অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়৷ আমরা আশা করেছিলাম, ডয়চে ভেলে রেডিওতেও তার খবর বিবিসির চেয়েও আকর্ষণীয় করা হবে যেহেতু পলের বসবাস জার্মানিতে৷ কিন্তু আমাদের সেই আশায় গুড়েবালি দিয়েছে ডয়চে ভেলে৷ আমরা পলকে নিয়ে প্রচারিত বিবিসি এবং ডয়চে ভেলের সেই সংবাদগুলো রেকডিং করে রেখেছি৷ তবে ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে ফিচারটি একটু দেরিতে আপডেট হলেও সেখানে সুন্দর করে পলের মৃত্যুর খবর তুলে ধরা হয়েছে৷ আমরা ডয়চে ভেলের মাধ্যমে জানতে পারলাম পলের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে সারা দুনিয়ার পত্রিকার শিরোনামে৷ উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফার ওয়েবসাইটেও৷ ফেসবুক এবং টুইটারে পলের পাতায় ভক্তদের শোকবার্তার ছড়াছড়ি৷ পলের মৃত্যুর মাত্র দু'ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুকে পলের ‘অফিসিয়াল' পাতায় জমা হয়েছে ২৫০ শোকবার্তা৷ একজন লিখেছেন, ‘‘পল আমরা তোমায় কখনও ভুলবো না৷ আমরা তোমাকে ভালোবাসি৷'' অনেকেই তাকে সম্বোধন করেছেন ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১০ এর প্রকৃত নায়ক হিসেবে৷ আবার অনেকে দাবি তুলেছেন পলকে এ বছরের ‘ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার' হিসেবে ঘোষণা করার জন্য৷ এদিকে, পলের বিদায়কে কিভাবে আরো স্মরণীয় করে রাখা যায়, সেটি নিয়ে এখন চিন্তা-ভাবনা করছেন পলের মালিক ‘ওবারহাউজেন সি লাইফ সেন্টার' কর্তৃপক্ষ৷ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পলের দেহ রাখা হয়েছে হিমাগারে৷ পলের মৃত্যুর পর এখনো পলকে নিয়ে যেসব ঘটনা ঘটছে তা ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে তুলে ধরায় আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি৷ আমরা চাই অক্টোপাস পল বিশ্ব সেরা একজন সফল ফুটবল জ্যোতিষী হিসেবে স্বীকৃতি পাক এবং তাকে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফা থেকেও স্বীকৃতি দেওয়া হোক৷

দিদারুল ইকবাল, শহীদুল কায়সার লিমন, তাছলিমা আক্তার লিমা, লিয়াকত আলী, হাজেরা বেগম, রফিকুল ইসলাম, আয়েশা বেগম, শাওন খান, আসিফুল ইসলাম রাতুল, আনোয়ারা বেগম, সাহাদাত হোসেন, তাছলিমা বেগম, আব্দুল রাজ্জাক, মুসলিমা বেগম, জোবেদা রিনা, উম্মে সালমা মাছুমা, ডয়চে ভেলে এফএম লিসেনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাড়ি- ৩৩৬, সেকশন- ৭, রোড- ২, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬,বাংলাদেশ৷

আপনাদের অনুষ্ঠান আমার খুব ভালো লাগে৷ যখন আমার এসএমএস-এর উত্তর না পাই তখন ভালো লাগেনা৷ যদি অপরাধ হয় বলুন তাহলে আর লিখবোনা৷ মীর রাসেল, রাজশাহী, বাংলাদেশ৷