1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সময়ও শেষ হতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা

১৭ অক্টোবর ২০১০

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্ত যে ঘটবে, তা তো জানাই ছিল, যদিও ঠিক কবে, তা নয়৷ এবার বিজ্ঞানীরা হিসাবনিকাশ করে বলছেন: ৩৭০ কোটি বছর পরে৷

https://p.dw.com/p/Pg1M
Centaurus A
বিগ ব্যাং এর পর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রসারিত হচ্ছে প্রচণ্ড গতিতেছবি: idw

মার্কিন এবং জাপানী বিজ্ঞানীদের এই দলটি অবশ্য তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণীকে ৫০ শতাংশের বেশী সম্ভাব্যতা দিতে রাজী নন৷ স্বয়ং সময়, কাল কিংবা মহাকাল যে আগামী ৩৭০ কোটি বছরের মধ্যে শেষ হবে, তার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ, বলে তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী৷

এই বিজ্ঞানীরা কিন্তু বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সংক্রান্ত একটি বহুদিনের তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করছেন৷ ঐ তত্ত্ব অনুযায়ী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পরিধি ক্রমেই বেড়ে চলেছে এবং অনন্তকাল বাড়তেই থাকবে৷ অবশ্যই এই তত্ত্বের পটভূমিতে রয়েছে সৃষ্টির সূচনার সেই ‘বিগ ব্যাং' বা সুবিশাল বিস্ফোরণ৷ একটি বোমা ফাটলে যেমন টুকরোগুলি ছড়িয়ে পড়তে থাকে, ঠিক তেমনিভাবেই আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের ব্যাস ও পরিধি বেড়ে চলেছে৷

এখন এই গবেষকরা বলছেন, পদার্থবিদ্যার নিয়মাবলী থেকেই বোঝা যায় যে, ব্রহ্মাণ্ডের পরিধি যে অনন্তকাল ধরে বেড়ে চলবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ কেন নেই, তা বুঝতে গেলে অঙ্কে ঢুকতে হবে: পদার্থবিদরা ক্রমবর্ধমান ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে আঁকজোক করতে গিয়ে ‘টাইম কাট-অফ' বলে একটি বস্তু ব্যবহার করেন - অর্থাৎ সময় যখন শেষ হবে, সেই ধরণের একটি তত্ত্বগত ঘটনা৷ এটা আসলে আঁকজোকের একটা পন্থা হলেও, সেটাই শেষে বাস্তব হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে বার্কলে'র ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানী রাফায়েল বুসো এবং তাঁর সতীর্থদের ধারণা৷

Grafik neue Planeten Flash-Galerie
সৌরজগতের বাইরে এমন অনেক গ্রহই সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরাছবি: AP

বিগ ব্যাং যাবৎ প্রায় ১,৩৭০ কোটি বছর বিগত হয়েছে৷ এতোদিনে বোঝা গেল যে, বিজ্ঞানীরা স্রেফ তাদের অঙ্কের খেলার জন্য যে কাল্পনিক তারিখটা ব্যবহার করছিলেন, সময়ের কবে অন্ত ঘটবে - সময় একটি চরম ঠাট্টায় ঠিক সেইরকম সময়েই উধাও হতে পারে৷ আর সময়ই যদি না থাকে, তবে পৃথিবীটাই বা থাকে কি করে? আমার, আপনার কথা তো বাদ দিলাম৷

তবে ভয় পাবেন না৷ অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট স্ট্রমলো মানমন্দিরের জ্যোতির্বস্তুবিদ চার্লস লাইনউইভার বলেছেন, বুসো আসলে ভুল করেছেন স্ট্যাটিস্টিক্স বা পরিসংখ্যানবিদ্যার একটি পদ্ধতিকে বড় বেশী গুরুত্ব দিয়ে৷ বুসো'র ব্রহ্মাণ্ডের গড় আয়ু নির্দ্দিষ্ট, আর ওটা এসেছে গাণিতিক সম্ভাব্যতা পাবার দুরাশায় সময়ের অন্তের একটি তাত্ত্বিক বিন্দু নির্দ্দেশ করা থেকে৷ আরো সহজ করে বলতে গেলে: সময়ের শেষ অবধারিতভাবে একটি বাস্তব, অর্থাৎ বস্তুগত ঘটনা, এবং তার একটি বস্তুগত কার্যকারণের প্রয়োজন৷ ওটাকে শুধু গণিতের খেলা হিসেবে ধরলে চলবে না৷

কতোটা বুঝলাম, তা জানি না৷ তবে আশ্বস্ত হলাম বৈকি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম