1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লীসহ উত্তর ভারতের বন্যা পরিস্থিতি বিপজ্জনক

১০ সেপ্টেম্বর ২০১০

টানা বৃষ্টি এবং বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে যমুনা,গঙ্গা ও অন্য বড় বড় নদীর জলস্তর বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে৷ প্লাবিত নদীর দুপাশের নীচুএলাকাগুলি৷ পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জরুরি বৈঠকে বসে দিল্লী সরকার৷

https://p.dw.com/p/P95x
ডুবে গেছে গড়মুক্তেশ্বর ও গাজিয়াবাদ জেলার ১২টি গ্রাম (ফাইল ফটো)ছবি: AP

২৪-ঘন্টা বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ৷

দিল্লি এখন বানভাসি৷ গত ৩২ বছরে যমুনা নদীর জলস্তর এতটা বাড়েনি৷ গত দু'দিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং হরিয়ানার যমুনানগরে হাতানিকুন্ড জলাধার থেকে প্রায় ৭লাখ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে আজ দিল্লী ও হরিয়ানায় যমুনানদীর জল বিপদসীমার বেশ ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে৷ নদীর দুপাশের নীচু এলাকা থেকে দু'হাজার পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে৷ রাখা হয়েছে অস্থায়ী শিবিরে৷ দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত অবশ্য অভয় দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ আজ সকালে জানা গেছে দিল্লির বাইরে কয়েক জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে গেছে বলে ওইসব জায়গা জলমগ্ন হওয়ায় দিল্লীর দিকে জলপ্রবাহ হয়তো কমতে পারে৷ তবে নীচু এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হয়েছে৷ শিবির বসানো হয়েছে, খাবারের বন্দোবস্তোও করা হয়েছে৷ কিন্তু ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ ভাল না হওয়ার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখায়৷

তবে কমনওয়েলথ গেমসের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের থাকার জন্য আবাসন প্রকল্প যমুনার পাড়ে তৈরি করা হলেও তা অক্ষত আছে৷ যদিও লাগাতার বৃষ্টির দরুণ কিছু স্টেডিয়ামে জল চুঁইয়ে পড়ে৷ স্টেডিয়ামের কোনো কোনো জায়গায় জল জমে মশার উপদ্রব বাড়ায়৷ টানা বর্ষায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে জলনিকাশি ব্যবস্থায় গলদ থাকায় ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ গেমসের আয়োজকদের কপালে ভাঁজ, বৃষ্টির জন্য পরিকাঠামো শেষ করার কাজ নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলছেনা৷ কারণ বৃষ্টি ও বন্যায় রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়ায় আশপাশের রাজ্যগুলি থেকে সাজসরঞ্জাম আসতে দেরি হচ্ছে৷

উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্য যেমন হরিয়ানা, পাঞ্জাব, গুজরাট, হিমাচলপ্রদেশের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত৷ হরিদ্বার ও বিজনৌরের জলাধার থেকে জল ছাড়ার দরুণ গঙ্গা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ডুবে গেছে গড়মুক্তেশ্বর ও গাজিয়াবাদ জেলার ১২টি গ্রাম ৷ হরিয়ানায় বানভাসি ৮০টি গ্রাম৷ ত্রাণ ও উদ্ধারে হাত লাগিয়েছ সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা৷ জেলা প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে৷

দিল্লির বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের মন্ত্রী জানান,পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি রাখা হয়েছে খালি সিমেন্ট ব্যাগ, পাথর, কাঠের খুঁটি, লাইফ জ্যাকেট, সার্চ লাইট ইত্যাদি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়