1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাবধান! কার বন্ধু হচ্ছেন ফেসবুকে?

২১ জানুয়ারি ২০১০

ফেসবুকে ‘বন্ধু’ হওয়ার জন্য অহরহই অপরিচিতদের শত অনুরোধের সবাই যে বন্ধুভাবাপন্ন বা সৎ উদ্দেশ্যেই অনুরোধ পাঠান তা তো নয়৷ সন্দেহ হলে প্রত্যাখ্যান করাটাই নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমানের কাজ৷

https://p.dw.com/p/LcbQ
বন্ধু করুন জেনেশুনে

তবে, যারা প্রোফাইলে নিজের ছবির বদলে একজোড়া বিড়াল বা একটা রাবারের হাঁসের ছবি দিয়ে রাখেন তারা সবাই কী খারাপ? বিষয়টি সেরকম না হলেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যাচাই না করেই অনেকে বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করছেন৷ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষাতেও তেমনটাই দেখা গেছে৷

গত কিছুদিনে যারা ওইরকম জোড়া-বিড়াল বা হাঁসের ছবিওয়ালা প্রোফাইল থেকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পেয়েছেন তারা জেনে নিন যে, ওই কাণ্ডের পেছনে ছিল জার্মানির মাইনস শহরের এর তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা কোম্পানি ‘সোফোস'৷ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তথ্য এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে কতোটা সাবধানী কিংবা তারা কতোটা উদার তা নিয়ে গবেষণা চালাতে এই উদ্যোগ নেয় ‘সোফোস'৷

এই জরিপে দেখা গেছে বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীই দৃশ্যত উদার৷ যাদের কাছে এমন অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল তাদের প্রায় অর্ধেকই, ৪৬ শতাংশই তা গ্রহণ করেছেন৷ ফেসবুক ছাড়া অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ফলাফল পাওয়া গেছে৷

যে কারও ‘বন্ধু' হলে কী হয়?

কথা হতে পারে একেবারে অপরিচিত কারও ‘বন্ধু' হলে কী হতে পারে তা নিয়ে৷ সাধারণত কারও ‘বন্ধু' হওয়া মানে সে আপনার ‘প্রোফাইল' তথ্য দেখতে পারবে৷ আপনি বিবাহিত না অবিবাহিত, কী আপনার শখ, এখন কোথায় কাজ করছেন, আগে কোথায় কোথায় কাজ করেছেন, আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শ বা ধর্মীয় বিশ্বাস কি, অবসরে কী করতে ভাল লাগে এসবই জানতে পারছে সে৷

অবশ্য আজকাল এসব তথ্য কে দেখতে পারবে আর কে পারবে না তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকছে অনেক নেটওয়ার্কেই৷ কিন্তু বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীই সে সম্পর্কে সচেতন না৷ আর এই সুযোগে, নানা উদ্দেশ্যে আপনার ‘বন্ধু' হচ্ছেন অনেকেই৷

বন শহরে জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিষয়ক দপ্তরের কর্মকর্তা গ্যুন্টার এনেন বলছিলেন, এসব ‘বন্ধু অনুরোধের' পেছনে থাকে আপনার সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য সংগ্রহ করার ইচ্ছে৷ আর এসব তথ্য বিক্রি করা হতে পারে ই-মেইল ‘স্পামার'দের কাছে, বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর কাছে৷ হঠাৎ করেই আপনার কাছে আসতে শুরু করতে পারে নানা পণ্যের চটকদার বিজ্ঞাপনের মেইল৷ এমনকী আপনার পেশাগত বা ব্যবসায়িক ইতিহাস বা আপনার নিকটজন কিংবা ব্যবসায়িক অংশীদারদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহও কারও উদ্দেশ্য হতে পারে৷

বার্লিনের শিল্প সংঘ ‘বিটকম' এর ক্রিস্টিয়ান স্পার এ বিষয়ে খুবই সোজাসাপটা ধারণায় বিশ্বাসী৷ তাঁর কথা হল, ব্যক্তিগত পরিচয় নেই এমন কারও ‘বন্ধু' হওয়াই ঠিক না৷ আর অবশ্যই সবাইকে খুব ভাল করে যার যার নেটওয়ার্কের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক বিধিবিধান বা সুযোগ সুবিধাগুলো জেনে নিতে হবে৷ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কোন কোন ‘বন্ধু' কী কী তথ্য দেখার সুযোগ পাবে আর কারা তা পারবে না৷ আলাদা আলাদা তালিকায় রাখতে হবে সাধারণ বন্ধু এবং অফিসের বস কিংবা ব্যবসায়িক অংশীদারদেরও৷ যাতে একদল আরেক দল সম্পর্কে তথ্য না পায় কিংবা আপনার একেবারে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়গুলো পেশাগত বা ব্যবসায়িক জীবনে প্রভাব না ফেলে৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ, সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক