1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌনব্যবসা বৈধ করার পরামর্শ দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

১১ ডিসেম্বর ২০০৯

আইন করে বন্ধ করা বা কমাতে না পারায় দেশে যৌনব্যবসা বৈধ করে দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালত বলেছে, নারী পাচার রোধে এবং যৌনকর্মীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে এ পদক্ষেপ কার্যকরী হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/Kzoq
ফাইল ফটোছবি: AP

দ্য এশিয়ান এজ পত্রিকাটি জানায়, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক দলবীর ভাণ্ডারি এবং এ কে পট্টনায়েক সরকার পক্ষের কৌশুলি গোপাল সুব্রামনিয়ামকে উদ্দেশ্য করে আদালতে বলেন, ‘‘আপনারা যেখানে বলছেন যে, এটা দুনিয়ার আদিমতম পেশা এবং যেখানে আইন করে তা বন্ধ করতে পারছেন না, তাহলে এটা বৈধ করে দিচ্ছেন না কেন?''

বিচারকরা বলেন, ‘‘আপনারা (সরকার) তখন ব্যবসাটি নজরদারিতে রাখতে পারবেন, পুনর্বাসন এবং এতে নিয়োজিতদের চিকিৎসা সুবিধা দিতে পারবেন৷''

শিশুপাচারের এক ঘটনায় নয়াদিল্লিতে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলার শুনানিকালে বিচারকরা এই মতামত দেন৷

বৈধ না হলেও ব্যবসা চলছেই

টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকাটি ওই বিচারকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘‘যৌনকর্মীরা হয় এপথে নাহয় ওপথে এই ব্যবসা চালিয়েই যাচ্ছে এবং দুনিয়ার কোথাওই আইনের মাধ্যমে তা কমানো বা বন্ধ করা যায়নি৷''

তাঁরা আরও বলেন, বরঞ্চ কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিতভাবে এই যৌনব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে৷ তাই আপনারা এটা বৈধ করে দেন না কেন?

সরকার পক্ষের কৌশুলি জানিয়েছেন সরকার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারে৷

যৌনব্যবসা বৈধ না হলেও ভারতের বহু রাজ্যেই এ পেশার রমরমা দিন দিন বাড়ছেই৷ দেশটির সেক্স ইন্ডাস্ট্রির আকারও যথেষ্টই বড়৷

সরকারের মদদে পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়েছে ভারতে প্রায় ৩০ লাখ নারী যৌনব্যবসায় লিপ্ত৷ যাদের প্রায় ৩০ ভাগই শিশু৷ ১২ থেকে ১৫ বছরের মেয়েরা বাধ্য হয়েই এ পেশায় আসছে৷

এইডস সংক্রমণ এবং অপর্যাপ্ত চিকিৎসা

ভারতের যৌনপল্লিগুলোকে মনে করা হয় দেশটিতে এইডস সংক্রমণের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে৷ দেশটিতে প্রায় ৩১ লাখ মানুষ এইডস নিয় বসবাস করছে বলেও ধারণা করা হয়৷

দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মানবাধিকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসব যৌনপল্লীতে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সেবা সংস্থা কিছু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমও চালাচ্ছে৷

দীর্ঘলড়াই শেষে গত বছর ভারতের যৌনকর্মীরা জীবনবিমা করার অধিকার পেয়েছে এবং দেশটির শ্রম আইনের সুবিধা পাওয়ার জন্য এখনও তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু যৌনব্যবসা বৈধ না হওয়ায় এসবের কোনটিই পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না৷

প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক