কোপেনহেগেন সম্মেলনে | পাঠক ভাবনা | DW | 07.12.2009
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

কোপেনহেগেন সম্মেলনে

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানমালা অন্যান্য যে কোন বেতার অনুষ্ঠানের চেয়ে সুন্দর, বিশেষত্বপূর্ণ, বৈচিত্রময় ...

এবং মানুষের জীবনের সঙ্গে সরাসরি
সম্পৃক্ত৷ তাই প্রায় ২০ বছর ধরে ডয়চে ভেলের বাংলা অনুষ্ঠান শোনা থেকে নিজেকে
একদিনের জন্যও বিরত রাখতে পারেনি৷ অনেক ডয়চে ভেলে অন্তপ্রাণ শ্রোতার মতো
আমিও ডয়চে ভেলে-কে হৃদয়ের গভীরে ঠাঁই দিতে বাধ্য হয়েছি৷ কেননা, ডয়চে
ভেলে'র মতো এমন স্বতস্ফুর্ত ও আবেদনময় পরিবেশনাকে কোনভাবেই এড়ানো যায়না৷
সত্য ও সুন্দরের সাধনায় নিমগ্ন ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ তার রেডিও অনুষ্ঠান
প্রচারের পাশাপাশি অনবদ্য ওয়েবসাইট পরিবেশনার মাধ্যমে যেভাবে তাদের
আন্তরিকতা ও শৈল্পিকতার প্রমাণ রেখে চলেছে, তা সত্যিই আমাদের জন্য একটি বিরাট
ইতিবাচক প্রাপ্তি৷
ডয়চে ভেলে'র বাংলা অনুষ্ঠানের এ প্রান্তিকে যেসব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, সেসব
আমাদের ডয়চে ভেলে'র ইথারে আটকে রাখার মতো এবং উপযোগী হলেও আমরা
সম্পূর্ণরুপে একে ইতিবাচক বলতে পারছিনা বলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া
আর কিছুই করার নেই৷ নতুন পরিবেশনা হেলথলাইন, সবুজ পৃথিবী, এক্সট্রা টাইম
আর নতুন মোড়কে পশ্চিমের জানালা, বিজ্ঞান ডট কম, ইনবক্স প্রভৃতি পরিবেশনা
নিঃসন্দেহে ভাল লাগার মতো এবং আকর্ষণীয়৷ কিন্তু আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আর
সম্প্রীতির চর্চা আজকের দুনিয়াতে যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং অপরিহার্য
সেখানে 'সেতুবন্ধ' পরিবেশনা ছিলো তা বাদ দেয়া হয় কি যুক্তিতে ? ঠিক একই রকম কথা প্রযোজ্য 'সূধীসমাজ' পরিবেশনাটির ক্ষেত্রেও৷ 'সূধীসমাজ' পরিবেশনাটিকে আমরা ভাবতাম অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ-পীড়ন, দুর্নীতি আর মানবতার বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী এবং আবেদনময় এক অনন্য পরিবেশনা হিসাবে৷ আমাদের মতে, নিকট অতীতে ডয়চে ভেলেকে যে পরিবেশনাটি সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ও গর্বিত করেছে, তা হচ্ছে- সূধীসমাজ৷
মানবিক মূল্যবোধ, সুচেতনার উন্মেষ আর সুশীল, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ নির্মাণের প্রত্যয় ও প্রয়াসের সঙ্গে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ডয়চে ভেলে যে অগ্রণী ভূমিকা রেখে
চলেছিল, ডয়চে ভেলে কি তবে সে অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতা থেকে সরে এসেছে ?
সত্যিকার অর্থেই, ডয়চে ভেলের রেডিও অনুষ্ঠান অনেক বেশি সুন্দর এবং বিশেষত্বপূর্ণ যা শুনে আমরা শ্রোতারা পুলকিত ও উপকৃত হই৷ এ বেতারের অনুষ্ঠান যতোই শুনি ততোই যেন দ্বিগুণ আকর্ষণ অনুভব করি৷ জার্মানি, ইউরোপ তথা গোটা দুনিয়াকে ভালভাবে জানতে
ডয়চে ভেলের কোন বিকল্প নেই৷
৬ ডিসেম্বর প্রচারিত বিজ্ঞান ডট কম পরিবেশনাটি সময়োপযোগী ও আকর্ষণীয় হয়েছে৷
নগর উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বিষয়ে প্রতিবেদন ও সাক্ষাৎকার পর্বটি ছিল খুবই
কৌতুহলোদ্দীপক৷ নতুন আঙ্গিকে প্রচারিত বিজ্ঞান ডট কম পরিবেশনাটি সত্যিকার
অর্থেই অসাধারণ হচ্ছে৷
ডয়চে ভেলে বাংলা অনুষ্ঠানের বহুল প্রচার ও প্রসার আমাদের সবসময়ের আন্তরিক কামনা ও প্রত্যাশা৷ শুভেচ্ছান্তে, আপনাদেরই, আশরাফুল ইসলাম , অন্বেষা বেতার শ্রোতা সংঘ, জয়সিদ্ধি, ইটনা, কিশোরগঞ্জ-২৩৯০, বাংলাদেশ৷

অবশেষে দীর্ঘ ১৩ বছর প্রতীক্ষার পর ডয়চে ভেলের রেজিষ্ট্রেশন পেয়েছে আমাদের সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব৷ চিঠি আসার কথা শুনে মনে একধরনের উত্তেজনা কাজ করতে শুরু করে৷ মনের মধ্যে বার বার জল্পনা-কল্পনা হচ্ছিল হয়ত ডয়চে ভেলের চিঠি হতে পারে যাতে আমাদের ক্লাবের স্বীকৃতি বা রেজিষ্ট্রেশন সনদ রয়েছে! বিকেল প্রায় সাড়ে পাঁচটার সময় আমরা পোস্ট অফিসে যাই৷ যাওয়ার পথে চিন্তা করলাম পিয়নকে কিছু বখশিশ দেবো৷ হঠাৎ করে মনের মধ্যে ভিন্ন একটি চিন্তা এসে গেলো আর তা হল যদি চিঠিটি ডয়চে ভেলে থেকে হয় এবং তাতে যদি ক্লাবের স্বীকৃতি বা রেজিষ্ট্রেশন সনদ থাকে তবে ডাকপিয়নকে প্রথমে যতটুকু বখশিশ দেবো চিন্তা করেছি তখন সেটা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবো৷ যেই কথা সেই কাজ পিয়নের হাতে খামটি দেখে বুজতে আর বাকী রইলোনা যে ভেতরে কি রয়েছে! পিয়নের কাছ থেকে দ্রুত খামটি নিয়ে খুলে দেখলাম এবং তাতে দেখলাম আমাদের সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব ডয়চে ভেলের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর বা স্বীকৃতি পেয়েছে৷ ডয়চেভেলের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর সম্বলিত সনদপত্র পেয়ে আমরা আনন্দে আত্নহারা হয়ে যাই৷ পিয়নকে সাথে সাথে বখশিশ দ্বিগুণ করে দিয়ে বাসায় ফিরে আসি৷ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ডয়চে ভেলের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর বা স্বীকৃতি পাওয়ার কথা জেনে অনেক আনন্দ পেয়েছেন এবং ক্লাবের সকলে ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক, দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস, নুরুননাহার সাত্তার সহ বাংলা বিভাগের সকল কর্মকর্তাকর্মচারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷

দিদারুল ইকবাল, তাছলিমা আক্তার লিমা, আনোয়ারা বেগম, মুছলিমা বেগম, জোবেদা রিনা, উম্মে সালমা মাছুমা, লিয়াকত আলী, হাজেরা বেগম, রফিকুল ইসলাম, শাওন খান, আসিফুল ইসলাম রাতুল, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব, বাড়ী- ৩৩৬, সেকশন- , রোড- , মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬, বাংলাদেশ

ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আসন্ন সম্মেলনের আগে ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠানে বিস্তারিত প্ততিবেদন গুলো বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছি৷ উষ্ণায়ন রোধ করতে

বিশ্বব্যাপী যে কর্মকান্ড চলছে সেই কাজকে বাস্তবে রুপায়ণ করতে চাই প্রতিটি দেশের আন্তরিক সদিচ্ছা এবং উদ্যোগ৷ দেশের উন্নয়নের অজুহাতে পরিবেশের ক্ষতিসাধন

করার অধিকার বিশ্বের কোনো দেশেরই নাই৷ কার্বন ঘনত্ত্ব কমাবার লক্ষ্যে কোপেনহেগেন সম্মেলনে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলি নতুন কি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষনা করে এবং বিশ্বের দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর উষ্ণায়নের প্রভাব কতখানি গুরুত্ব তা খতিয়ে দেখে , আমরা সেই দিকে তাকিয়ে রইলাম৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি, ভারত ৷