1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের জলপথ ব্যবহারের অনুমতি চাইছে আসাম গ্যাস ক্রাকার

১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯

ভারতীয় কোম্পানি ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার এন্ড পলিমার লিমিটেড, যা আসাম গ্যাস ক্র্যাকার প্রজেক্ট নাম পরিচিত, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহারের অনুমতি চাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে৷

https://p.dw.com/p/Jd6P
ফাইল ফটোছবি: Tom Felix Joehnk

তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য রিগসহ ভারি যন্ত্রপাতি আসাম পর্যন্ত পরিবহন করতে চায় এই কোম্পানি৷

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনির ভারত সফরের শেষ দিনে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণার মাত্র একদিন পরেই এই প্রস্তাবের কথা জানিয়েছে ঐ ভারতীয় কোম্পানি৷ বাংলা-ভারত যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নদী বন্দর ব্যবহারে ভারতকে অনুমতি দেবার কথা বলা হয়েছে৷

ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার এন্ড পলিমার লিমিটেডের সত্তর ভাগের মালিক গেইল ইন্ডিয়া লিমিটেড৷ বাকি ৩০ ভাগের অংশীদার অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড, নুমালিগাহ রিফাইনারি লিমিটেড এবং আসাম সরকার৷ আপার আসামের লেপেটকাটায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি রুপির তেল গ্যাস অনুসন্ধানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে৷ চলতি বছর এই প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৮শ ৯৬ কোটি রুপি৷ আগামী বছরের মে মাস থেকে এই অনুসন্ধান কাজ শুরু হবে৷ ইতিমধ্যে সেখানে ব্লক ইজারা, সাইট সিলেকশন, বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মানের কাজ অন্তর্ভুক্ত৷

ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার এন্ড পলিমার লিমিটেডের কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলোকে জানিয়েছেন, তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারি যন্ত্রপাতি সময়মত পরিবহন করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ৷ আর তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে জাহাজে করেই এগুলো আনতে হবে৷ তিনি জানান, এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য একটি বিশাল প্রকল্প৷ ভারতের মাটি ব্যবহার করে আসামে ভারী এ সব যন্ত্রপাতি পরিবহন সম্ভব নয় বলেই তাদেরকে বাংলাদেশের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে৷

মূলত এই সব ভারি যন্ত্রপাতি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী ব্যবহার করে আসামে পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক