জার্মানির নির্বাচন | পাঠক ভাবনা | DW | 03.09.2009
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

জার্মানির নির্বাচন

এসপ্তাহের "জার্মানি ইউরোপ"ফিচার পর্বে জার্মানির আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচারাভিযানে পোস্টার ও প্লাকার্ড সংস্কৃতির উপর ...

বিস্তৃত আলোকপাত শুনে যে ধারণা পেলাম তাতে মনে হল জার্মানির সিডিইউ দলের প্রচারের ধরণের সাথে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারের ধরণের কিছুটা মিল আছে৷ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন প্রচারাভিযানে পোস্টার, ব্যানার, মিটিং, মিছিল, সভা-সমাবেশ, দেওয়াল লিখন, পথ নাটক, কমিক, ও বাড়ি বাড়ি প্রচারের প্রাধান্য লক্ষণীয়৷ আবার বর্তমানে দিল্লীতে থাকার ফলে দেখেছি এখানকার নির্বাচনী প্রচারের চিত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটাই আলাদা৷ এখানে মিটিং, মিছিল, সভা-সমাবেশ, পোস্টার, ব্যানার, অনেক কম৷ গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে যেটা বেশী চোখে পড়ল তা হল প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা রঙীন লিফলেট, পুস্তিকা, ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে প্রতি বাড়ি বাড়ি বিলি করেছে৷ আবার জনপ্রিয় হিন্দী গানের সুর নকল করে গান রচনা করে নিজ নিজ দলের সাফল্যের খতিয়ান এবং বিরোধী দলের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে প্রচার করেছে৷ জার্মানির আসন্ন নির্বাচনে জার্মান নাগরিকরা কোন দলকে জয়ী করে দেশের ক্ষমতায় নিয়ে আসবে আমরা সেই দিকেই তাকিয়ে রইলাম৷ সুভাষ চক্রবর্তী, কর্পোরেট কার্য মন্ত্রণালয়, শাস্ত্রী ভবন, নতুন দিল্লী, ভারত৷

অবশেষে শ্রোতাদের অনুরোধ রাখল ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের কর্তৃপক্ষ৷ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন শ্রোতার প্রস্তাব রাখা চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছিলো মেলবক্স অনুষ্ঠানে৷ তিনি প্রস্তাব রেখেছিলেন যেহেতু এখন ডিজিটাল যুগ এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মানুষ এখন স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে যা দিয়ে এফ.এম রেডিও শোনা যায়, ছবি তোলা/ভিডিও করা যায় এমনকি ইন্টারনেটও ব্যবহার করা যায় তাই ডয়চে ভেলে যেন তার পুরস্কারের ধরণ পাল্টিয়ে শ্রোতাদের মোবাইল ফোন সেট উপহার দেয়! তার সেই প্রস্তাবে সেদিন বাংলা বিভাগের নুরুননাহার সাত্তার আপা হাসতে হাসতে বলেছিলেন কোন একদিন শ্রোতাবন্ধুরা হয়ত শুনতে পাবেন “প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা ........... প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে থাকছে মোবাইল ফোন!” এই উক্তিটি আমাদের হৃদয়ে গেথে থাকে সযত্নে৷ হঠাৎ গতকাল রেডিওতে শুনতে পাই সেই শ্রোতাবন্ধুর প্রস্তাব এবং তার প্রস্তাবের জবাবে বলা উক্তির সফল বাস্তবায়ন! কানে ভেসে এলো সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের বিশেষ ধাঁধাঁ প্রতিযোগিতা প্রশ্ন জার্মানির সরকার প্রধানকে কী বলা হয়? - প্রধানমন্ত্রী, - চ্যান্সেলর, - মুখ্যমন্ত্রী উত্তর পাঠিয়ে দিন ডয়চে ভেলের ঠিকানায় আগামী ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে৷ বিজয়ীদের জন্য থাকছে পাঁচটি নোকিয়া মোবাইল ফোন, পাঁচটি অ্যাপল আইপড, পাঁচটি গ্রুন্ডিগ রেডিও, পাঁচটি হাতঘড়ি, ১০টি ছোট রেডিও এবং বহু আকর্ষণীয় পুরস্কার৷ ঘোষণাটি শুনে প্রথমে আমরা ভেবে ছিলাম হয়ত ভুল করে বলা হয়ে থাকতে পারে৷ এরপর আবারো ঘোষণাটি পেছনে টেনে শুনলাম তবুও বিশ্বাস করতে পারছিলামনা যে আমরা যা শুনেছি তা সঠিক এবং সত্য! তাই কিছুটা দ্বিধাদন্বের মধ্যে ছিলাম৷ বেশকিছুক্ষণ পর ওয়েবসাইটে আপডেট ঘোষণা দেখতে পেলাম এবং বিস্মিত হলাম সকলে৷ সবাই হা করে কম্পিউটারে পড়ছে ঘোষণাটি! আনন্দের উত্তেজনায় আমরা সাথে সাথে কয়েকটি উত্তর পাঠিয়ে দিলাম ই-মেইল করে৷ ডয়চে ভেলের লোভনীয় পুরস্কার দেখে এবং পুরস্কার পাওয়ার আশা নিয়ে এই বিশেষ প্রতিযোগিতায় আমরা অংশ গ্রহণ করলাম৷ রাতে আমরা আমাদের ক্লাবের অনেক বন্ধুকে ফোনে প্রতিযোগিতার খবরটি দিয়েছি যাতে তারাও পুরস্কার পেতে এখন থেকে দ্রুত অংশগ্রহণ করে৷ কারণ বলাতো যায়না ভাগ্য কাকে ফেবার করে ফেলে! আমরা এই প্রতিযোগিতার লিংকটি আমাদের ক্লাবের ওয়েবসাইটে “কুইজ কর্ণার”-এ সংযুক্ত করে দিয়েছি ঠিকানা: www.sarc97.blogspot.com যাতে যারা আমাদের ক্লাবের ওয়েবসাইট লগইন করছেন তারাও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন৷ ডয়চে ভেলের এই অ-সাধারণ আয়োজনে আমরা অনেক অনেক খুশি এবং পুরস্কার পেলে আরোও বেশি খুশি হবো৷ আমরা বলবো শ্রোতাদের জন্য এবারের প্রতিযোগিতার পুরস্কারগুলো ডয়চে ভেলের ৩৪ বছরের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা আয়োজন!

দিদারুল ইকবাল, তাছলিমা আক্তার লিমা, আনোয়ারা বেগম, মুছলিমা বেগম, জোবেদা রিনা, উম্মে সালমা মাছুমা, লিয়াকত আলী, হাজেরা বেগম, রফিকুল ইসলাম, শাওন খান, আসিফুল ইসলাম রাতুল, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ