1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের

২১ জুলাই ২০০৯

বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়ের পর এবার সিরিজ জয়৷ গ্রেনাডায় রকিবুলের ৬৫ ও সাকিবের অপরাজিত ৯৬ রানে দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/Itbg
সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশছবি: AP

এর আগে ২০০৫ সালে দেশের মাটিতে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে ১-০ তে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল তারা৷

বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিবের নেতৃত্বেই বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতল বাংলাদেশ৷ আরেকটি টেস্ট সিরিজের আগে শতভাগ সফল অধিনায়ক হিসেবেই কৃতিত্ব পাবেন এই অলরাউন্ডার৷

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ততোটা আনন্দের ছিলো না৷ মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ১৭ রান৷ অথচ দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা৷ ভুল শট আর রানের জন্য তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে একে একে ফিরে যান ইমরুল কায়েস, তামিম ইকবাল, জুনাইদ সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ আশরাফুল৷ আশরাফুল এই ইনিংসেও ব্যর্থতা ধরে রাখেন৷ পেসার সামির বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি৷

Cricket Bangladesch vs West Indies in Grenada
সাকিব আল হাসানছবি: AP

৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের যখন টালমাটাল অবস্থা ঠিক তখনই অধিনায়ক উইকেটে আসেন৷ জুটি বাঁধেন রকিবুলের সঙ্গে৷ তাঁকে পেয়ে রকিবুলও স্বস্তি পান৷ পঞ্চম জুটিতে তাঁরা দ্রুত রান তোলেন৷ প্রতি ওভারেই বদলে যায় ম্যাচের চেহারা৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের পক্ষে৷ পরিস্থিতি দেখে স্বাগতিক দলের ক্রিকেটারদের মুখেও ফুটে ওঠে হতাশার ছাপ৷ ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাট করতে এসে মুশফিক ১২ রানে সামির বলে কট এবং বোল্ড হয়ে বিদায় নিলেও মাহমুদুল্লাহ জয়ের বার্তা নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন৷ বাংলাদেশের অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে রান করেন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৯৬৷

দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট আর ম্যাচে আট উইকেটের সঙ্গে দুই ইনিংসে ১১২ রান তুলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন অধিনায়ক সাকিব৷ সঙ্গে সিরিজ সেরার পুরস্কারটিও ওঠে তাঁরই হাতে৷ এর আগে সোমবার সকালে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৯ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ৷ প্রথম ইনিংসের পাঁচ রান মিলিয়ে স্বাগতিক দলের স্কোর দাঁড়ায় ২১৪৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন