1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সব কেন্দ্র চালু থাকলেও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটবে না

২০ এপ্রিল ২০০৯

গ্রীষ্ম না আসতেই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে চরম বিদ্যুৎ সংকট৷ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দিন রাত্রিতে চলছে বিদ্যুতের লোড শেডিং৷

https://p.dw.com/p/HaXu
ছবি: www.BilderBox.com

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হিসাব অনুসারে ১৪টি উৎপাদন ইউনিট বন্ধ রয়েছে৷ কেবল গ্যাস ঘাটতির কারণে সাড়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে না৷ সরকারী হিসাব অনুসারে এখন গড়ে প্রতিদিন লোড শেডিং হচ্ছে এক হাজার থেকে ১১০০ মেগাওয়াট৷ একদিকে প্রচন্ড গরম আর অপরদিকে, বিদ্যুৎ-এর ঘন ঘন যাওয়া আসার কষ্টে দুর্বিষহ নাগরিক জীবন৷

পিডিবির পরিচালক জনসংযোগ বজলুল হক ডয়চে ভেলে‘কে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে প্রতিদিন গড় চাহিদা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার মেগাওয়াট৷ ছোট বড় ১৪টি ইউনিট বন্ধ থাকা এবং গ্যাস কম পাবার কারণে অবস্থা সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ জানা গেছে, ১৪টি ইউনিট ফোর্স আউটেজ, পূর্নবাসন এবং জরুরি সংরক্ষনাধীন অবস্থায় রয়েছে৷

সরকারী হিসাব অনুসারে গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে ৫০০০ মেগাওয়াট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও বেসরকারী হিসাবে এই পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট৷ চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পিডিবি সারা দেশে লোড শেডিং করছে৷

জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান অফিস ঢাকার মতিঝিলের ওয়াপদা ভবনে অতীত ইতিহাসে কখনো লোডশেডিং এর কবলে না পড়লেও এখন এই ভবনেও দিনে দুই থেকে তিনবার লোড শেডিং হচ্ছে৷ এ চিত্র সর্বত্র৷

পিডিবির ১৯ এপ্রিলের হিসাব অনুসারে দেখা যাচ্ছে, সবগুলো বিদ্যুত কেন্দ্র এক সঙ্গে চালু করা হলেও এই মুহূর্তের চাহিদা মেটানো সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়৷ ৩৬টি বিদ্যুত কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার ৫৮৭ মেগাওয়াট৷ পুরোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্ষমতা লোপ পাবার কারণে এগুলো থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদন সম্ভব ৫ হাজার ৩৪ মেগাওয়াট৷ ফলে সবগুলো উৎপাদন কেন্দ্র চালু থাকলেও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটবে না৷ আর সবগুলো বিদ্যুৎ ইউনিট এক সঙ্গে চালু রাখা সম্ভব নয় বলেই বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন৷

গত ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের একটি জ্বালানি নীতিমালা গৃহীত হয়েছিল৷ এরপর ২০০০ সালে সরকার বিদ্যুৎ খাতের জন্য একটি মাস্টার প্লান তৈরি করে৷ ঐ মাস্টার প্ল্যান অনুসারে সরকার কোন পদক্ষেপই নিতে পারেনি৷ এছাড়া লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা গিয়ে দাঁড়াবে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে৷ এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এখনো কোন কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদক সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা আবদুল্লাহ আল-ফারুক