1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ুর উষ্ণতা কমানোর বিতর্কিত পরীক্ষা বিফল

২৭ মার্চ ২০০৯

দক্ষিণ মহাসাগরে দ্রবীভূত লোহা ফেলে জলবায়ুর ঊষ্ণতা কমানোর বিতর্কিত এক পরীক্ষা জার্মানি ও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের হতাশ করেছে৷

https://p.dw.com/p/HKkh
ছবি: Simon/Alfred-Wegener-Institute

এ পরীক্ষায় তারা মহাসাগরের ৩০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রচন্ড বেগে ঘূর্ণায়মান পানির স্রোতের মধ্যে ছয় টন দ্রবীভূত লোহা ফেলেছিলেন৷ তাদের আশা ছিল, মহাসাগরের ক্ষুদ্র প্লাংকটনিক শৈবাল কিংবা ফাইটোপ্লাংকটন কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিবে৷ ফলে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে৷ কিন্তু ভারতের মহাসমুদ্রবিদ্যা বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান এনআইও এবং জার্মানির আলফ্রেড ভাগনার ইন্সটিটিউট (এডাব্লিউআই) এর বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেননি, যে কঠিন খোলসবিশিষ্ট ক্ষুদ্র সামুদ্রিক জুপ্লাংকটন জীবাণুগুলো এই ফাইটোপ্লাংকটনগুলোকে খেয়ে ফেলে৷

সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এডাব্লিউআই বলেছে, লোহাফেক্স নামের এই যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে মহাসাগরে পরিবেশের সূক্ষ্ম পরিবর্তনের বিষয়ে বেশ কিছু ধারণা পাওয়া গেছে৷ কিন্তু এটা দক্ষিণ মহাসাগরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড পৃথক করে রাখার সম্ভাবনার আশা দমিয়ে দিয়েছে৷ তারা বলছে, এর আগে লোহার মাধ্যমে উর্বরতা বৃদ্ধির প্রকল্পে বেশ সফলতা পাওয়া গিয়েছিল৷ কারণ তখন তারা শক্ত আবরণে সুরক্ষিত শৈবাল ব্যবহার করেছিল যেগুলো দক্ষিণ মহাসাগরে বিস্তার লাভ করে না৷

গবেষণা দলটি ৭ জানুয়ারি কেইপ টাউন থেকে যাত্রা শুরু করে এবং প্রায় আড়াই মাসের কষ্টসাধ্য পরীক্ষা চালায়৷ এসময়ে তাদেরকে মহাসাগরে অনেকগুলো ঝড়-তুফানের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়েছে৷ তবে ভারতীয় মসলা দিয়ে রান্না করা সুস্বাদু খাবার তাদের নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার উৎসাহ ও উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিতো৷ এডাব্লিউআই বলছে, অন্য যে কোন বৈজ্ঞানিক অভিযাত্রা থেকে ভিন্ন এ গবেষণা কাজে অনেক বেশি অনিশ্চয়তা ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখী তাদেরকে হতে হয়েছে৷

এ পরীক্ষাটি ভূ-প্রকৌশল বিদ্যার অপরাপর গবেষণার মতই৷ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে কার্যকর কোন রাজনৈতিক পদক্ষেপ এখনও বাস্তবায়িত না হওয়ায় সম্প্রতি এ ধরণের প্রচেষ্টার কথা বেশ জোরে-শোরে আলোচিত হচ্ছে৷ কিন্তু এ ধরণের পরীক্ষা পরিবেশবাদীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ কেননা এর মাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধে মানবিক আচরণ পরিবর্তনে কোন ভূমিকা রাখে না৷ ভূ-প্রকৌশল পরীক্ষার অন্য আরেকটি ধারণা হচ্ছে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে সালফার দানা ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সূর্য রশ্মির বিকীরণকে প্রতিফলিত করা৷ এর মাধ্যমে আশা করা হয়, যে সূর্য রশ্মি বিচ্যুত হবে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক