ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে চায় ডয়চে ভেলে | পাঠক ভাবনা | DW | 22.02.2009
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে চায় ডয়চে ভেলে

ঢাকার শ্রোতা সম্মেলনে ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্রে ফিরে আসায় আমি খুশি৷ বর্তমান সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করতে চায় ডয়চে ভেলে৷’

ঢাকায় শ্রোতা সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস৷

ঢাকায় শ্রোতা সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস৷

তিনি বলেন, ‘ডয়চে ভেলে রেডিও ২০০৮ সালে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে৷ গেল বছর এক লাখ ১০ হাজারের মত ই-মেইল, এসএমএস আমরা পেয়েছি৷ পরিবর্তিত ওয়েব সাইটও পেয়েছে দারুণ জনপ্রিয়তা৷'

Viertes DW Hörer und Schauer Zusammenkunft 2009

ঢাকায় শ্রোতা সম্মেলনে তিন শ'র বেশী শ্রোতা যোগ দিয়েছেন৷

রোববার সকালে ঢাকার গোয়েটে ইনিস্টিটিউটে চতুর্থ শ্রোতা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোয়েটে ইনিস্টিটিউটের পরিচালক টরস্টেন অরটেল ও ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের অন্যতম সম্পাদক ফাহমিদা সুলতানা৷ আরো বক্তব্য রাখেন ডয়চে ভেলে ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জামান সিদ্দিকী, কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক সংগঠন বিএনএনআরসি-র প্রধান বজলুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ৷ ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷ সম্মেলনে তিন শ'র বেশী শ্রোতা যোগ দিয়েছেন৷

শ্রোতা সম্মেলনে গ্রেহেম লুকাস বলেন, বাংলাদেশের অনলাইন নিউজ পেপার বিডিনিউজ ২৪ ডট কমে এখন ডয়চে ভেলের ব্যানার দেখা যায়৷ রেডিও ফুর্তিসহ আরো বেশ কিছু সাংবাদিকের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব৷

Viertes DW Hörer und Schauer Zusammenkunft 2009

ঢাকায় শ্রোতা সম্মেলনে অংশ নেয়া আলোচকদের একাংশ৷

কিভাবে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলেকে আরো বেশী জনপ্রিয় করা যায় সে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে৷ তিনি বলেন, ফেস বুকে একটি গ্রুপ গঠন করা হয়েছে৷ বর্তমানে যার সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার৷

গ্রেহেম লুকাস বাংলাদেশে আসার আগে কলকাতায় শ্রোতা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন৷ সেখানে তিনি শ্রোতাদের কিছু অভিযোগ-অনুযোগের উত্তর যেভাবে দিয়েছেন তা ঢাকা শ্রোতা সম্মেলনে তুলে ধরেন এবং বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতারা বলছে, আমাদের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদ বেশী থাকে৷ কিন্তু আমার কথা হচ্ছে সংবাদ বেশী না কম সেটা ব্যাপার না, আমরা কোয়ালিটি নিশ্চিত করে নিরপেক্ষ ভাবে সংবাদ দিতে পারলাম কিনা সেটাই দেখার বিষয়৷' তবে বাংলাদেশের মত পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতারা ফ্রিকোয়েন্সীর সমস্যার কথা বলেছেন বলে জানান লুকাস৷ এবং তিনি এই সমস্যা সমাধানে সকল শ্রোতার সহযোগিতা চান৷

ঢাকার বই মেলায় এবার প্রথমবারের মত স্টল দেওয়ার পটভুমিও তুলে ধরেন তিনি৷

শ্রোতা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি গোয়েটে ইনিস্টিটিউটে পরিচালক অরটেল বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করেছে ডয়চে ভেলে৷ এই সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে তিনি খুশি বলে জানান৷

Viertes DW Hörer und Schauer Zusammenkunft 2009

ঢাকায় শ্রোতা সম্মেলনে অংশ নেয়া শ্রোতাদের একাংশ৷

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের অন্যতম সম্পাদক ফাহমিদা সুলতানা অনুষ্ঠান শুনে শ্রোতাদের আরো বেশী করে মতামত দেওয়ার অনুরোধ জানান৷ শ্রোতারা কষ্ট করে সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন জানান৷

শ্রোতা সম্মেলনে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ডয়চে ভেলের ওয়েব সাইট দেখানো হয়৷ শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গ্রেহেম লুকাস৷ সেখানে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব না৷ সাধ্যের মধ্যে ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠানমালা আরো উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷

সম্মেলনে শ্রোতাদের একটি প্রস্তাবিত রেডিও নাটক শোনানো হয়৷ যেটি সপ্তাহে একদিন করে ডয়চে ভেলে প্রচার করবে৷

Viertes DW Hörer und Schauer Zusammenkunft 2009

ঢাকায় শ্রোতা সম্মেলনে অংশ নেয়া শ্রোতাদের একাংশ৷

শ্রোতা সম্মেলন প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের শ্রোতাদের যোগাযোগের অনুষ্ঠান মেইল বক্স-এর সম্পাদক ও ফিডব্যাক কো-অর্ডিনেটর নুরুননাহার সাত্তার বলেন, প্রতিবারের মতো এবারের শ্রোতা সম্মলনেও এসেছিলেন বহু শ্রোতাবন্ধু বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে৷ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে আমরা বন স্টুডিও থেকে সরাসরি কথা বলেছি শ্রোতাবন্ধুদের সাথে৷ টেলিফোনে কথা বলার সময় আমার কাছে মনে হচ্ছিল যেন আমি তাঁদের সাথেই আছি৷গত তিনটি শ্রোতা সম্মেলনেই আমি স্বশরীরে উপস্হিত ছিলাম৷

তিনি জানান, টেলিফোনে বন্ধুরা জানালেন ডয়চে ভেলের প্রতি তাঁদের আবেগ, উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসার কথা৷ জানালেন অনুষ্ঠান ও ওয়েবসাইট সম্পর্কেও খোলামেলা মতামত৷ আরো বললেন ডয়চে ভেলে এখন অনুষ্ঠানের শ্রবনমানের চেয়ে ওয়েবসাইটের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ কিন্তু প্রশ্ন বাংলাদেশের কজন শ্রোতার ওয়েবসাইট দেখার সুযোগ রয়েছে? আরেকজন বন্ধু বললেন আমাদের বাংলা ওয়েবসাইটে কি নেই ! সবই তাঁর কাছে ভালো লাগে ৷ সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে বিনোদন আর শ্রোতাদের জন্য আলাদা পাতা তো রয়েছেই ৷ যেখানে শ্রোতাবন্ধুদের নিজেদের লেখা চিঠি থেকে ক্লাব কর্মকান্ডের খবরও থাকে৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট নিয়মিত দেখার জন্য তাঁকে কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হয়েছে , মাউস ধরা শিখতে হয়েছে৷

এ সম্পর্কে আগামী ২৮ তারিখের মেইল বক্সে থাকবে বিস্তারিত আলোচনা৷

নির্বাচিত প্রতিবেদন

ইন্টারনেট লিংক