1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথিবীর জলবায়ু

রিয়াজুল ইসলাম২২ নভেম্বর ২০০৮

পৃথিবীর জলবায়ু রক্ষার পক্ষে আজ গোটা বিশ্বেই জনমত তৈরি হচ্ছে৷ পরিবেশ রক্ষায় তেল কিংবা কয়লার পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানির উত্‌স খোঁজার কথা চিন্তাভাবনা করছে মানুষ৷ সম্প্রতি ২১ টি দেশে পরিচালিত এক জরিপে বের হয়ে এসেছে এ তথ্য৷

https://p.dw.com/p/FztC
সবুজকে ধরে রাখা যাবে কি ?ছবি: AP

ওয়ার্ল্ড পাবলিক ওপিনিয়ন ডট ওআরজি নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে করা এই জরিপে দেখা গেছে ২১টি দেশের বেশীরভাগ জনগন জ্বালানি হিসেবে বাতাস কিংবা সৌরশক্তি ব্যবহারের পক্ষে। তারা বিভিন্ন অবকাঠামোকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনে স্বল্পমেয়াদী ক্ষতি মেনে নিতে প্রস্তুত। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক স্টিভেন কাল বলেন, মানুষ বুঝতে পারছে যে জ্বালানি তেলের মজুদ ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। তাই জ্বালানির বিকল্প উত্‌স খুঁজে বের করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তারা আসলেই দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করছে।

Portugal Solaranlage in Serpa
সৌরশক্তির খরচ সব দেশের পক্ষে মেটানো সম্ভব নয়৷ছবি: AP

জরিপে অংশ নেয়া লোকদের মধ্যে গড়ে শতকরা ৭৭ ভাগই মনে করে যারা নীতি নির্ধারণ করে থাকেন তাদের উচিত বিকল্প জ্বালানির ক্ষেত্রে আরও বেশি বিনিয়োগ করা। জরিপে এককভাবে রাশিয়ার ৫০ ভাগ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৮৯ ভাগ লোক এ মত দিয়েছে। অবকাঠামোগুলোকে আরও পরিবেশ অনুকূল করে গড়ে তোলার পক্ষে মত দিয়েছেন গড়ে শতকরা ৭৪ ভাগ লোক। এক্ষেত্রে ফ্রান্স ও বৃটেনের নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। শতকরা ৮৯ ভাগ। তারা মনে করছে সরকারের আরও বেশী উদ্যোগী হওয়া উচিত বিভিন্ন শিল্প কারখানাগুলোকে আরও পরিবেশ বান্ধব করে তোলার জন্য। জরিপে অংশ নেয়া ২১ টি দেশের মাত্র কয়েকটি দেশের নাগরিকরা জ্বালানির জন্য পরমাণু শক্তি, কয়লা কিংবা তেল ব্যবহারের পক্ষে বেশি মত দিয়েছে। কেবল কেনিয়া, আর্জেন্টিনা, জর্ডান এবং নাইজেরিয়ার ৫০ ভাগেরও বেশি জ্বালানির জন্য কয়লা ও তেল ব্যবহারের বিষয়টি সমর্থন করেছে। তবে মোটের ওপর জরিপের মাত্র ৪০ ভাগ লোক মনে করে জ্বালানির জন্য কয়লা কিংবা তেল ব্যবহার করা উচিত।

মতামতদানকারীদের এ দৃষ্টিভঙ্গিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান। স্টিভেন কাল বলেন, এটা বেশ মনে রাখার মতই যে আজ গোটা বিশ্বেই এই ধারণাটি শক্তিশালী হয়ে উঠছে যে বিকল্প জ্বালানির জন্য সরকারগুলোর আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত। তবে তার চেয়ে আরও বড় ব্যাপার হল সরকারগুলো খুব কম ক্ষেত্রেই জনগণের এই চিন্তা ভাবনাকে অনুসরণ করছে।