ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন উইকেটে হারাল ভারত
১২ জুন ২০১১অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শনিবার টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী ভারতের অধিনায়ক সুরেশ রায়না৷ ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে রাসেলের অপরাজিত অর্ধশতকের সুবাদে ৮ উইকেটে ২২৫ রান করে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ মাত্র ৯৬ রানে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা৷ তবে তাদের খেলায় ফেরান উইকেট কিপার কার্লটন বগ ও জ্যামাইক্যান তারকা রাসেল৷ অষ্টম উইকেট জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৭৮ রান৷
শেষ পর্যন্ত ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান রাসেল৷ নিজের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমে দলকে বাঁচান ভরাডুবির হাত থেকে৷ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ৪৯ রানের ইনিংসটি ছিল এতোদিন সর্বোচ্চ৷ আগের পাঁচ ম্যাচে সব মিলিয়ে করেছিলেন ৫৫ রান৷ তবে শনিবার ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমে ৮টি চার ও ৫টি ছয় মেরে তুলে নেন ৮৪ রান৷
অবশ্য, স্বাগতিকদের কিছুটা ভালো অবস্থানে নিয়ে আসেন লেন্ডল সিমন্স ও রামনরেশ সারওয়ান৷ অমিত মিশ্রর বলে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়ার আগে সিমন্স রান তুলে নেন ৪৫টি৷ রান আউটের শিকার সারওয়ানের সংগ্রহ ২৮ রান৷ দলীয় ৬৫ রানের মাথায় সারওয়ান দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেয়ার পর ৩১ রান যোগ করতে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷
যাহোক, ২২৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২২ বল বাকি থাকতেই সহজ জয় লাভ করে ভারত৷ হরভজন সিং এর সাথে শর্মার ৮৮ রানের জুটি সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে দেয় ভারতকে৷ হরভজনের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান৷ এরপরই রাসেলের বলে বগের হাতে ধরা পড়েন হরভজন৷ হরভজনের শূন্যতা পূরণ করতে আসেন প্রবীণ কুমার৷ অপরাজিত প্রবীণের সংগ্রহ ২৫ রান৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে তাল মিলিয়ে ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার ব্যাটসম্যান পার্থিব পাটেল, ৪৬৷
ভারতের পক্ষে অমিত মিশ্র ও মুনাফ প্যাটেল ৩টি করে উইকেট নেন৷ এজন্য মিশ্র খরচ করেন ২৮ এবং মুনাফ ৬০ রান৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়