1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও ন্যাটোর দুর্বলতা নিয়ে দুশ্চিন্তা

২২ মার্চ ২০২৩

ন্যাটোর মহাসচিব প্রতিরক্ষা খাতে সদস্য দেশগুলির ব্যয়ের মাত্রা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন, বেশিরভাগ দেশ এখনো জিডিপি-র কমপক্ষে দুই শতাংশ ব্যয় করছে না৷

https://p.dw.com/p/4P2tL
ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন
ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লাইয়েনছবি: Ole Berg-Rusten/NTB Scanpix/AP/picture alliance

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অ্যামেরিকা ও ইউরোপ রাশিয়ার সঙ্গে আরও বড় সংঘাতের ঝুঁকির মুখে পড়লেও সামরিক জোট ন্যাটো এখনো নতুন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত নয়৷ সামরিক জোটের মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গ বলেন, সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী এক চতুর্থাংশেরও কম সদস্য দেশ প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে৷ অর্থাৎ ৩০টি সদস্য দেশের মধ্যে মাত্র সাতটি দেশ জিডিপি-র কমপক্ষে দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করছে৷

২০২২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রিস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লিথুয়েনিয়া, পোল্যান্ড, ব্রিটেন, এস্টোনিয়া ও লাটভিয়া সেই তালিকায় রয়েছে৷ স্টল্টেনব্যার্গ বলেন, ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স  সম্ভবত অদূর ভবিষ্যতে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চলেছে৷ তা সত্ত্বেও সার্বিক চিত্র মোটেই স্বস্তিকর নয়৷ যেমন বেলজিয়াম, স্পেন ও লুক্সেমবুর্গ জিডিপি-র এক দশমিক দুই শতাংশেরও কম প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করছে৷ অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর সার্বিক শক্তির নিরিখে জিডিপি-র ৫৪ শতাংশ ব্যয় করছে৷

২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ এবং পূবের ডনবাস অঞ্চলের অংশবিশেষ দখল করার পর থেকে ন্যাটো সদস্য দেশগুলি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে৷ কিন্তু গত বছর রাশিয়া গোটা ইউক্রেনের উপর হামলা শুরু করার ফলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে৷ ন্যাটোর মহাসচিবের মতে, এই অবস্থায় আরও দ্রুত আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন৷ পৃথিবীর বিপজ্জনক এই অবস্থায় এ ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন৷

আগামী জুলাই মাসে লিথুয়েনিয়ার রাজধানী ভিলনিউসে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ সেই সম্মেলনে ২০১৪ সালের তুলনায় আরও বড় লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার প্রত্যাশা করছেন স্টল্টেনব্যার্গ৷ তবে ২০২২ সালে তার আগের বছরের তুলনায় সার্বিকভাবে দুই দশমিক দুই শতাংশ ব্যয় বাড়ায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন তিনি৷ বিশেয করে ক্যানাডা ও ইউরোপ গত আট বছর ধরে সেই ব্যয় ধারাবাহিকভাবে বাড়িয়ে চলেছে৷

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সংসদে তাঁর ভাষণে প্রতিরক্ষা কাঠামো মজবুত করতে ১০,০০০ কোটি ইউরো এককালীন ব্যয়ের পাশাপাশি জিডিপি-র দুই শতাংশ বাৎসরিক ব্যয়ের ঘোষণা করেছিলেন৷ তা সত্ত্বেও জার্মানির ব্যয় এখনো দেড় শতাংশের সামান্য কম৷ ধাপে ধাপে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে জার্মান সরকার আশা করছে৷ লিখিতভাবে সেই অঙ্গীকার পাকাপাকি করার উদ্যোগ চলছে৷

নিজস্ব প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের মাত্রা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারলেও ন্যাটোর বেশিরভাগ সদস্য দেশ ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছে৷ সে দেশের প্রতিরক্ষা আরও মজবুত করতে বিপুল আর্থিক সহায়তাও করা হচ্ছে৷ সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথ উদ্যোগে ইউক্রেনের জন্য গোলাবারুদ কেনার উদ্যোগ শুরু করেছে৷ ন্যাটোর বাজেটের হিসেবে অবশ্য সেই ব্যয় বিবেচনা করা হয় না৷ হাঙ্গেরির আপত্তি সত্ত্বেও ন্যাটো ইউক্রেনের সঙ্গে আরও সহযোগিতার লক্ষ্যে সংলাপ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)